রাত ১১টার দিকে ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এতে রাসায়নিকের অনেকগুলো কনটেইনার একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনের জানালা ভেঙে যায়।
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকার একটি কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী রয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার রাত ১১টার দিকে ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। এতে রাসায়নিকের অনেকগুলো কনটেইনার একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনের জানালা ভেঙে যায়। ৪ কিলোমিটার দূরের এলাকা থেকেও বিস্ফোরণের ধাক্কা টের পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার গত রাতে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২১ সদস্য আহত হন।
সিএমসিএইচ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, 'ডিপো থেকে ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে করে ১০০ জনের বেশি আহতকে চমেকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ জনকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, 'এ দুর্ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছেন, তাদেরকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সকল হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেয়া হবে। প্রশাসন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে, সেভাবেই সহায়তা করা হবে।'
শাহালাম নামে একজন আহত গাড়িচালক টিবিএসকে বলেন, 'আমি মালামাল আনলোড করতে ডিপোতে গিয়েছিলাম। আকস্মিক বিস্ফোরণে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে কী হয়েছে, মনে করতে পারছি না।'
এদিকে বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তৈরি পোশাক মালিকদের প্রায় ১ হাজার টিইইউ'স (২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার) কনটেইনার পণ্য পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী। এর মধ্যে প্রায় ৯০০ টিইইউ'স যুক্তরাষ্ট্রগামী ও ১০০ টিইইউ'স ইউরোপগামী। এসব পণ্য রপ্তানির জন্য এই ডিপোতে আনা হয়েছিল। এছাড়া পুড়ে যাওয়া কনটেইনারে মার্কিন কোম্পানি এইচঅ্যান্ডএম-এর পণ্যও ছিল বলে জানান তিনি।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে প্রায় ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। ৩০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত ডিপোটির কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৬ হাজার ৫০০ টিইইউ'স।


